সুন্দরবন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nishit Kumar Biswas (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
OrangKalideres (আলোচনা | অবদান)
58.145.186.204 (আলাপ)-এর করা সম্পাদনাগুলি বাতিল করে MdsShakil-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত: ধ্বংসাত্মক সম্পাদনা বাতিল
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত এসডাব্লিউভিউয়ার [১.৬]
 
(১৪ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ১৪টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
৩ নং লাইন:
| name = সুন্দরবন
| iucn_category =
| photo = SunSave inthe Sunderbanssundarbans 20.jpg
| photo_alt =
| photo_caption = সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঅভ্যন্তর
| photo_width =
| map = বাংলাদেশ#ভারত পশ্চিমবঙ্গ#ভারত#এশিয়া#পৃথিবী
৩৮ নং লাইন:
}}
}}
'''''সুন্দরবন''''' হলো [[বঙ্গোপসাগর]] উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত [[বনভূমি]] যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। [[পদ্মা]], [[মেঘনা]] ও [[ব্রহ্মপুত্র]] নদীত্রয়ের অববাহিকার [[বদ্বীপ]] এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ [[বনভূমি]] [[বাংলাদেশ]]ের [[খুলনা]], [[সাতক্ষীরা]] ও [[বাগেরহাট]] জেলার কিছু অংশ এবং [[ভারত]]ের [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের দুই জেলা [[উত্তর চব্বিশ পরগনা]] ও [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা]] জুড়ে বিস্তৃত।<ref>Pani, D. R.; Sarangi, S. K.; Subudhi, H. N.; Misra, R. C.; Bhandari, D. C. (2013). "[https://www.researchgate.net/profile/Dilip_Kundu2/post/What_are_the_rice_varieties_that_show_salt_tolerance_naturally/attachment/59d6397779197b8077996ae6/AS%3A401904459894785%401472832898899/download/Art+9+Pani+et+al..pdf Exploration, evaluation and conservation of salt tolerant rice genetic resources from Sundarbans region of West Bengal]" (PDF). ''Journal of the Indian Society of Coastal Agricultural Research''. '''30''' (1): 45–53.</ref> সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় [[ম্যানগ্রোভ]] বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।<ref name="Bpedia">{{বাংলাপিডিয়া উদ্ধৃতি|অধ্যায়=সুন্দরবন|লেখক=নিয়াজ আহমদ সিদ্দিকী}}</ref> ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%)<ref name="P.Alo">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সুন্দরবনের হারানো মাছ |লেখক=খসরু চৌধুরী |ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-23/news/80773 |বিন্যাস=ওয়েব |সংবাদপত্র=দৈনিক প্রথম আলো |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=২৩ জুলাই ২০১০ |পাতা=২৫ |পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ=জুলাই ২৪, ২০১০ |ভাষা=বাংলা }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=সেপ্টেম্বর ২০২১ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> রয়েছে বাংলাদেশে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Sundarbans Tiger Project<!-- Bot generated title --> |ইউআরএল=http://www.sundarbantigerproject.info/viewpage.php?page_id=3 |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০০৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080520112911/http://www.sundarbantigerproject.info/viewpage.php?page_id=3 |আর্কাইভের-তারিখ=২০ মে ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এবং বাকি অংশ (৩৪%) রয়েছে ভারতের মধ্যে।
 
[[সুন্দরবন]] ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে [[ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান]] হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0272771407000029|শিরোনাম=Monitoring mangrove forest dynamics of the Sundarbans in Bangladesh and India using multi-temporal satellite data from 1973 to 2000|তারিখ=2007-06-01|সাময়িকী=Estuarine, Coastal and Shelf Science|খণ্ড=73|সংখ্যা নং=1-2|পাতাসমূহ=91–100|ভাষা=en|doi=10.1016/j.ecss.2006.12.019|issn=0272-7714}}</ref> এর [[বাংলাদেশ]][[ভারতীয়]] অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও [[জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা|ইউনেস্কোর]] বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে; যথাক্রমে 'সুন্দরবন' ও '[[সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান]]' নামে। এই সুরক্ষা সত্ত্বেও, [[আইইউসিএন লাল তালিকা|আইইউসিএন রেড লিস্ট]] অফ ইকোসিস্টেম ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে ২০২০ সালের মূল্যায়নে ভারতীয় সুন্দরবনকে বিপন্ন বলে মনে করা হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0006320720308090|শিরোনাম=Indian Sundarbans mangrove forest considered endangered under Red List of Ecosystems, but there is cause for optimism|তারিখ=2020-11-01|সাময়িকী=Biological Conservation|খণ্ড=251|পাতাসমূহ=108751|ভাষা=en|doi=10.1016/j.biocon.2020.108751|issn=0006-3207}}</ref> সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল।<ref name="P.Alo" /> বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত [[রয়েল বেঙ্গল টাইগার]] ছাড়াও নানান ধরনের পাখি, [[চিত্রা হরিণ]], [[কুমির]] ও [[সাপ]]সহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ১০৬ বাঘ ও ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১ মে সুন্দরবন [[রামসার স্থান]] হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করার মাধ্যমে প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করে।
 
সর্বাধিক প্রচুর গাছের প্রজাতি হল [[সুন্দরী]] এবং [[গেওয়া]]। বনে ২৯০টি পাখি, ১২০টি মাছ, ৪২টি স্তন্যপায়ী, ৩৫টি সরীসৃপ এবং আটটি উভচর প্রজাতিসহ ৪৫৩টি প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাসস্থান রয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://doi.org/10.1652/1400-0350(2004)010%5B0139:MMIBAS%5D2.0.CO;2|শিরোনাম=Managing mangroves in Bangladesh: A strategy analysis|শেষাংশ=Iftekhar|প্রথমাংশ=M.S.|শেষাংশ২=Islam|প্রথমাংশ২=M.R.|তারিখ=2004|সাময়িকী=Journal of Coastal Conservation|খণ্ড=10|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=139|doi=10.1652/1400-0350(2004)010[0139:mmibas]2.0.co;2|issn=1400-0350}}</ref>
 
মাছ এবং কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণী ছাড়া অন্য বন্যপ্রাণী হত্যা বা দখলের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, মনে হচ্ছে বিংশ শতাব্দীতে হ্রাসপ্রাপ্ত জীববৈচিত্র্য বা প্রজাতির ক্ষতির একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ প্যাটার্ন রয়েছে, এবং বনের পরিবেশগত গুণমান হ্রাস পাচ্ছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://doi.org/10.1186/1746-1448-6-8|শিরোনাম=Dynamics of Sundarban estuarine ecosystem: eutrophication induced threat to mangroves|শেষাংশ=Manna|প্রথমাংশ=Suman|শেষাংশ২=Chaudhuri|প্রথমাংশ২=Kaberi|শেষাংশ৩=Bhattacharyya|প্রথমাংশ৩=Somenath|শেষাংশ৪=Bhattacharyya|প্রথমাংশ৪=Maitree|তারিখ=2010-08-11|সাময়িকী=Saline Systems|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=8|doi=10.1186/1746-1448-6-8|issn=1746-1448|pmc=PMC2928246|pmid=20699005}}</ref> পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বন অধিদপ্তর। বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে বন সংরক্ষণের জন্য একটি বন চক্র তৈরি করা হয় এবং এরপর থেকে প্রধান বন সংরক্ষক দের নিযুক্ত করা হয়েছে। উভয় সরকারের কাছ থেকে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, সুন্দরবন প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট উভয় কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। ২০০৭ সালে [[ঘূর্ণিঝড় সিডর|ঘূর্ণিঝড় সিডরের]] ভূমিধ্বসের কারণে প্রায় ৪০% সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি এবং স্বাদুপানির সরবরাহ হ্রাসের কারণে বনটি বর্ধিত সালিনিটিতেও ভুগছে। আবার ২০০৯ সালের মে মাসে [[ঘূর্ণিঝড় আইলা]] ব্যাপক হতাহতের সাথে সুন্দরবনকে বিধ্বস্ত করে। এই ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১,০০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://timesofindia.indiatimes.com/india/23-dead-1-lakh-affected-as-cyclone-aila-hits-bengal/articleshow/4575274.cms|শিরোনাম=23 dead, 1 lakh affected as Cyclone Aila hits Bengal {{!}} India News - Times of India|শেষাংশ=May 25|প্রথমাংশ=PTI /|শেষাংশ২=2009|ওয়েবসাইট=The Times of India|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-17|শেষাংশ৩=Ist|প্রথমাংশ৩=22:38}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://earthobservatory.nasa.gov/images/38786/cyclone-aila|শিরোনাম=Cyclone Aila|তারিখ=2009-05-29|ওয়েবসাইট=earthobservatory.nasa.gov|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-17}}</ref> প্রস্তাবিত কয়লা চালিত [[রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প|রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র]] টি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[খুলনা বিভাগ|খুলনার]] [[বাগেরহাট জেলা|বাঘেরহাটবাগেরহাট জেলার]] [[রামপাল উপজেলা|রামপাল উপজেলায়]] সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মাইল) উত্তরে অবস্থিত, ইউনেস্কোর ২০১৬ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে এই অনন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্যের আরও ক্ষতি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://en.prothom-alo.com/environment/news/122299/Unesco-calls-for-shelving-Rampal-project|শিরোনাম=Unesco calls for shelving Rampal project|তারিখ=2016-09-26|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-17|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৬-০৯-২৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160926203716/http://en.prothom-alo.com/environment/news/122299/Unesco-calls-for-shelving-Rampal-project|ইউআরএল-অবস্থা=bot: unknown}}</ref>
 
== নামকরণ ==
বাংলায় ''সুন্দরবন''-এর আক্ষরিক অর্থ ''সুন্দর জঙ্গল'' বা ''সুন্দর বনভূমি''।<ref name="sundar">{{cite book|title=সামসাদ বাংলা-ইংরেজি অভিধান|chapter-url=https://dsalsrv04.uchicago.edu/cgi-bin/app/biswas-bengali_query.py?qs=%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0&searchhws=yes|year=2000|publisher=সাহিত্য সামসাদ|page=১০১৭|chapter=সুন্দর|author=Biswas, S.|location=কলকাতা|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১|আর্কাইভের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190918161310/https://dsalsrv04.uchicago.edu/cgi-bin/app/biswas-bengali_query.py?qs=%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0&searchhws=yes|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref><ref name="ban">{{cite book|title=সামসাদ বাংলা-ইংরেজি অভিধান|chapter-url=https://dsalsrv04.uchicago.edu/cgi-bin/app/biswas-bengali_query.py?qs=%E0%A6%AC%E0%A6%A8&searchhws=yes|year=২০০০|publisher=সাহিত্য সামসাদ|page=৭১৭|chapter=বন|author=Biswas, S.|location=কলকাতা|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১|আর্কাইভের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190918161301/https://dsalsrv04.uchicago.edu/cgi-bin/app/biswas-bengali_query.py?qs=%E0%A6%AC%E0%A6%A8&searchhws=yes|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> [[সুন্দরী]] গাছ থেকে সুন্দরবনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে, যা সেখানে প্রচুর জন্মায়। অন্যান্য সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে যে, এর নামকরণ হয়তো হয়েছে "সমুদ্র বন" বা "চন্দ্র-বান্ধে (বাঁধে)" (প্রাচীন আদিবাসী) থেকে। তবে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় যে [[সুন্দরী]] গাছ থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে।<ref name="Bpedia" /> সুন্দরবন স্থানীয়ভাবে বাদা বা বাদাবন[[বন|,]] হুলোবন, শুলোবন, মাল, মহাল হিসেবে পরিচিত। বাদা মানে [[জোয়ার-ভাটা]] বয়ে যায় যে বনে। [[ব্রিটিশ কাউন্সিল|ব্রিটিশ]] উপনিবেশের সময় এই বাদার নাম হয়ে যায় মহাল, মধুমহাল, গোলমহাল।
 
== ইতিহাস ==
৮২ নং লাইন:
 
=== স্বাদুজলের জলাভূমির বনাঞ্চল ===
সুন্দরবনের [[স্বাদু জল|স্বাদুজল]] জলাভূমির বনাঞ্চল বাংলাদেশের ক্রান্তীয় আর্দ্র-সপুষ্পক বনের অন্তর্গত। এধরনের বন নোনাজলযুক্ত জলাভূমির উদাহরণ। স্বাদুজলের জীবমন্ডলের জল সামান্য নোনা এবং বর্ষাকালে এই লবণাক্ততা কিছুটা হ্রাস পায়, বিশেষ করে যখন গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদের জলের কারণে নোনাজল দূর হয় এবং পলিমাটির পুরু আস্তরণ জমা হয়।
 
== উদ্ভিদবৈচিত্র্য ==
৮৮ নং লাইন:
[[চিত্র:সুন্দরবন পশ্চিম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য.jpg|thumb|সুন্দরবনের বিখ্যাত গোলপাতা গাছ।]]
[[চিত্র:বেত গাছ.jpg|thumb|বেত গাছ]]
সুন্দরবনের প্রধান বনজ বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী, গেওয়া, ঝামটি গরান এবং কেওড়া। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত প্রেইন এর হিসেব মতে সর্বমোট ২৪৫টি শ্রেণী এবং ৩৩৪টি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।রয়েছে।।
 
সুন্দরবনের প্রধান গাছপালার মধ্যে অন্যতম সুন্দরী, গেওয়া, গড়ান, পশুর, বাইন, হেঁতাল, গোলপাতা, খামু, লতা সুন্দরী, কেওড়া, ধুন্দুল, আমুর, ছৈলা, ওড়া, কাঁকরা, সিংরা, ঝানা, খলশি ইত্যাদি। কিন্তু সুন্দরবনের নামের সমার্থক হিসেবে যে তরুটি জড়িয়ে আছে, সেটি সুন্দরীগাছ।
 
ব-দ্বীপিয় নয় এমন অন্যান্য উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বনভূমি এবং উচ্চভূমির বনাঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বনভূমিতে উদ্ভিদ জীবনপ্রবাহের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
১০২ ⟶ ১০৪ নং লাইন:
[[চিত্র:সুন্দরবনের কুমির খামার.jpg|thumb|সুন্দরবনের কুমির খামারে চাষকৃত কুমির ছানা]]
সুন্দরবনে ব্যাপক প্রাণীবৈচিত্র্য বিদ্যমান। প্রাণীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সুন্দরবনের কিছু কিছু এলাকায় শিকার নিষিদ্ধ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ অভয়ারণ্যের মত, যেখানে শর্তহীনভাবে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যায়না এবং বন্য প্রাণীর জীবনে সামান্যই ব্যাঘাত ঘটে। যদিও এটা স্পষ্ট যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রাণী সম্পদ হ্রাস পেয়েছে<ref name="hussain" /> এবং সুন্দরবনও এর বাইরে নয় । তারপরও সুন্দরবন বেশ অনেকগুলি প্রাণীর প্রজাতি ও তাদের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রজাতিদের টিকিয়ে রেখেছে। এদের মধ্যে বাঘ ও শুশুককে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রানীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও পর্যটন উন্নয়নের। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সম্পূর্ণ বিপরীত পরিবেশে থাকা এ দুইটির অবস্থা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সামগ্রিক প্রাণীবৈচিত্র্য এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার শক্তিশালী সূচক। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসেব মতে সুন্দরবন ৫০০ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল যা পৃথিবীতে বাঘের একক বৃহত্তম অংশ।<ref name="www.bforest.gov.bd/highlights.php">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=www.bforest.gov.bd/highlights.php |ইউআরএল=http://www.bforest.gov.bd/highlights.php |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০০৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20041207075333/http://www.bforest.gov.bd/highlights.php |আর্কাইভের-তারিখ=৭ ডিসেম্বর ২০০৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিচিত্র জীববৈচিত্র্যের আধার বাংলাদেশের সুন্দরবন বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২০সর্বাধিক প্রজাতিরপ্রচুর মাছ,গাছের ২৭০প্রজাতি প্রাজাতিরহল সুন্দরী এবং গেওয়া। বনে ২৯০টি [[পাখি]], ৪২১২০টি প্রজাতির[[মাছ|মাছ,]] ৪২টি [[স্তন্যপায়ী]], ৩৫৩৫টি [[সরীসৃপ]] এবং ৮টি টি[[উভচর প্রাণী|উভচর]] প্রজাতিসহ ৪৫৯টি [[বন্যপ্রাণী]]<nowiki/>র প্রাজাতিরবাসস্থান আবাসস্থল।রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রজাতির একটি বড় অংশ বিদ্যমান (যেমনঃ ৩০ শতাংশ সরীসৃপ, ৩৭ শতাংশ পাখি ও ৩৭ শতাংশ স্তন্যপায়ী) এবং এদের একটি বড় অংশ দেশের অন্যান্য অংশে বিরল।<ref>Scott, D.A. 1991. Asia and the Middle East Wetlands. M. Finlayson and M. Moser (eds.). Oxford: 151-178.</ref> সরকারের মতে এই প্রানীবৈচিত্র্যের মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে।<ref name="sarakar" />মুখে
 
{{multiple image|perrow=1|align=right|image1=Sundarban Tiger.jpg|caption1=সুন্দরবনে একটি বাংলার বাঘ|image2=Axis axis Kanha 4kl.jpg|caption2=[[chital|চিত্রল]] হরিণ (''Axis axis'')|image3=Macaca mulatta 2.JPG|caption3=একটি [[রিসাস ম্যাকাক]] (''Macaca mulatta'')}}
১০৭ ⟶ ১১১ নং লাইন:
সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান মৌলিক প্রকৃতির এবং যা বন্য প্রাণীর বিশাল আবসস্থল। বন্য প্রাণীর সংখ্যা এবং এর লালনক্ষেত্রের উপর মানুষের সম্পদ সংগ্রহ ও বন ব্যবস্থাপনার প্রভাব অনেক। [[কচ্ছপ]] ([[কেটো কচ্ছপ]] – ''Betagur baska'', [[সুন্দি কাছিম]] – ''Lissemys punctata'' এবং [[ধুম তরুণাস্থি কাছিম]] – ''Trionyx hurum''), [[গিরগিটি]] (''Varanus flavescens'' ও [[গুই সাপ]] – ''Varanus salvator''), [[অজগর]] (''Python molurus'') এবং [[রয়েল বেঙ্গল টাইগার]] (''Panthera tigris tigris'') সুন্দরবনের স্থানীয় প্রজাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি সংরক্ষিত, বিশেষ করে [[বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) (সংশোধিত) আইন, ১৯৭৪]] (P.O. 23 of 1973) দ্বারা। বিভিন্ন প্রজাতির [[হরিণ]] (Chital deer- ''Axis axis,'' Hog deer – ''Axis procinus'' ও Swamp deer – ''Cervus duvauceli''), [[মহিষ]] (''Bubalis bubalis''), [[জাভাদেশীয় গণ্ডার]] – ''Rhiniceros sondaicus'' ও [[ভারতীয় গণ্ডার]] – ''Rhinoceros unicornis'') এবং [[স্বাদুপানির কুমির]]ের (''Crocodylus palustris'') মত কিছু কিছু প্রজাতি সুন্দরবনে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝির দিক থেকে।<ref name=sarakar>Sarker, S.U. 1993. Ecology of Wildlife UNDP/FAO/BGD/85/011. Field Document N. 50 Institute of Forestry and Environmental Sciences. Chittagong, Bangladesh. 251 p.</ref>
 
সুন্দরবনে নানা প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে জলে রয়েছে [[কুমির]], [[হাঙর]] প্রভৃতি। স্থলে রয়েছে [[রয়েল বেঙ্গল টাইগার]], [[হরিণ]], [[বানর]], [[সজারু]], [[শিয়াল|শেয়াল]], নানা ধরনের [[পাখি]], [[মৌমাছি]], [[বনমোরগ|বন মোরগ]] ইত্যাদি
{{multiple image|perrow=1|image1=Big croc.jpg|caption1=সুন্দরবন কুমির প্রজনন কেন্দ্রে একটি নোনা জলের কুমির|image2=2009 Pristis microdon1.JPG|caption2=একটি বড় টুথ করাতমাছ|image3=Periophthalmus argentilineatus.jpg|caption3=একটি কাদাঅধিনায়ক}}
 
{{multiple image|perrow=1|image1=Big croc.jpg|caption1=সুন্দরবন কুমির প্রজনন কেন্দ্রে একটি নোনা জলের কুমির|image2=2009 Pristis microdon1.JPG|caption2=একটি বড় টুথ করাতমাছ|image3=Periophthalmus argentilineatus.jpg|caption3=একটি কাদাঅধিনায়ক}}
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিচিত্র জীববৈচিত্র্যের আধার বাংলাদেশের সুন্দরবন বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ [[সরীসৃপ]] এবং ৮ টি উভচর প্রাজাতির আবাসস্থল। এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রজাতির একটি বড় অংশ বিদ্যমান (যেমনঃ ৩০ শতাংশ সরীসৃপ, ৩৭ শতাংশ পাখি ও ৩৭ শতাংশ স্তন্যপায়ী) এবং এদের একটি বড় অংশ দেশের অন্যান্য অংশে বিরল।<ref>Scott, D.A. 1991. Asia and the Middle East Wetlands. M. Finlayson and M. Moser (eds.). Oxford: 151-178.</ref> সরকারের মতে এই প্রানীবৈচিত্র্যের মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে।<ref name="sarakar" />
 
{{multiple image|direction=horizontal|total_width=400|image1=Ichthyophaga ichthyaetus -Kazaringa, Assam, India-8 (3).jpg|caption1=একটি ধূসর মাথা বিশিষ্ট মাছের ঈগল|image2=Blue-eared Kingfisher.JPG|caption2=সুন্দরবনে নীল গ্রীবা মাছরাঙারও দেখা মিলে।}}
১১৮ ⟶ ১২২ নং লাইন:
২০০৪ সালের হিসেব মতে, সুন্দরবন প্রায় ৫০০ রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাঘের আবাসস্থল যা বাঘের একক বৃহত্তম অংশ<ref name="www.bforest.gov.bd/highlights.php" />। এসব বাঘ উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ, গড়ে প্রতি বছরে প্রায় ১০০ থেকে ২৫০ জন, মেরে ফেলার কারণে ব্যপকভাবে পরিচিত। মানুষের বাসস্থানের সীমানার কাছাকাছি থাকা একমাত্র বাঘ নয় এরা। বাঘের অভায়ারণ্যে চারপাশ ঘেরা বান্ধবগড়ে, মানুষের উপর এমন আক্রমণ বিরল। নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ায় ভারতীয় অংশের সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে একটিও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশের সুন্দরবনে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত কালপরিধিতে অর্ধাশতাধিকের বেশি বাঘ মানুষের হাতে মারা গেছে।<ref name="সুন্দরবনের পশু শিকারের মহোৎসব" />
 
স্থানীয় লোকজন ও সরকারীভাবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বাঘের[[বাঘ|বাঘে]]<nowiki/>র আক্রমণ ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। স্থানীয় জেলেরা বনদেবী বনবিবির প্রার্থণা ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে যাত্রা শুরুর আগে। সুন্দরবনে নিরাপদ বিচরণের জন্য প্রার্থণা করাও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে জরুরি। বাঘ যেহেতু সবসময় পেছন থেকে আক্রমণ করে সেহেতু জেলে এবং কাঠুরেরা মাথার পেছনে মুখোশ পরে। এ ব্যবস্থা স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করলেও পরে বাঘ এ কৌশল বুঝে ফেলে এবং আবারও আক্রমণ হতে থাকে। সরকারি কর্মকর্তারা আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড়দের প্যাডের মত শক্ত প্যাড পরেন যা গলার পেছনের অংশ ঢেকে রাখে। এ ব্যবস্থা করা হয় শিরদাঁড়ায় বাঘের কামড় প্রতিরোধ করার জন্য যা তাদের পছন্দের আক্রমণ কৌশল।
 
=== মৎস্য সম্পদ ===
১৫৫ ⟶ ১৫৯ নং লাইন:
১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে বনজ সম্পদের স্থিতির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে প্রধানত দুইটি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ক্ষেত্রে - সুন্দরী এবং গেওয়া। এই হ্রাসের পরিমাণ যথাক্রমে ৪০ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ (ফরেস্টাল ১৯৬০ এবং ও ডি এ ১৯৮৫)। তাছাড়া, মাছ ও কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণী ব্যতীত অন্যান্য বন্যপশু শিকারের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেখানে জীব বৈচিত্র্য হ্রাসের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে (এ শতকে উল্লেখযোগ্য হল কমপক্ষে ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও ১ প্রজাতির সরীসৃপ) এবং ফলশ্রুতিতে বাস্তুসংস্থানের মান হ্রাস পাচ্ছে (আই ইউ সি এন ১৯৯৪)।
 
=== বাংলাদেশের অভয়ারণ্য ===
== সংরক্ষিত এলাকা ==
=== ভারতের জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ===
[[চিত্র:Sunderbans map.png|thumb|right|254x254px|ভারতীয় সুন্দরবনের সুরক্ষিত এলাকার একটি মানচিত্রে দেখানো হয়েছে বাঘ সংরক্ষণের সীমা, জাতীয় উদ্যান এবং তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সংরক্ষণ ও বাসস্থান কেন্দ্র, বসবাসের শহর এবং প্রবেশপথ। সমগ্র বনভূমি (গাঢ় সবুজ) এলাকাটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ গঠন করে, এবং জাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারগুলির বাইরে অবশিষ্ট বনগুলির একটি [[সংরক্ষিত বন]]ের স্থিতি দেওয়া হয়েছে।]]
;[[সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান]]: পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান একটি [[জাতীয় উদ্যান]] বা [[জাতীয় উদ্যান|ন্যাশনাল পার্ক]], [[টাইগার রিজার্ভ]] এবং একটি [[জীবমন্ডল সংরক্ষণ]] নিয়ে গঠিত। এটি [[গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ|গঙ্গার দ্বীপ]] এবং বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবন সংলগ্ন সুন্দরবনের পশ্চিম অংশ অবস্থিত। [[বদ্বীপ]] এলাকাটি ঘন ম্যানগ্রোভ বন দ্বারা আচ্ছাদিত, এবং [[বেঙ্গল টাইগার]]ের জন্য বৃহত্তম বাসস্থানের মধ্যে একটি। এখানে লবণাক্ত জলের কুমিরের সাথে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ প্রজাতি রয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানটি ছিল ১৯৭৩ সালে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ মূল এলাকা এবং ১৯৭৭ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত হয়। ৪ ই মে ১৯৮৪ সালে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
 
[[চিত্র:Sajnekhali wildlife sanctuary and others part of Sundarbans 01.jpg|thumb|সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের স্বাগতম তোরণ]]
;[[সজনেখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য]]: সজনেখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য হচ্ছে ভারতের [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা|দক্ষিণ ২৪ পরগণা]] জেলার সুন্দরবনের সজনেখালি নামক স্থানে অবস্থিত একটি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। এটির আয়তন ৩৬২ বর্গকিমি। ১৯৬০ সালে [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার]] এটিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করে এবং ১৯৭৬ সালে তা পুনরায় ঘোষিত হয়।<ref name="কল্যাণ">কল্যাণ চক্রবর্তী, বিশ্বজিত রায়চৌধুরী, ভারতের বন ও বন্যপ্রাণী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১, কলকাতা, পৃষ্ঠা-১২৭-১২৮।</ref>
 
;'''হ্যালিডে দ্বীপ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য''': [[হ্যালিডে দ্বীপ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য]] হচ্ছে [[ভারত]]ের [[পশ্চিমবঙ্গ]] [[ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল|রাজ্যের]] [[দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা]]য় অবস্থিত একটি বন্যপ্রাণ [[অভয়ারণ্য]]। [[বঙ্গোপসাগর]]ের নিকটে মাতলা নদীর মুখে প্রায় ৬ বর্গকিমি বনাঞ্চল নিয়ে এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। এটি ১৯৭৬ সালে অভয়ারণ্যরূপে ঘোষিত হয়।<ref name=Tourist>{{বই উদ্ধৃতি|পাতাসমূহ=34|শিরোনাম=Tourist Guide Book of Sundarbans|প্রথমাংশ=Joydeb|শেষাংশ=Das|তারিখ=May 2015|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=iX7wCAAAQBAJ&pg=PA12&dq=%22Haliday+Wildlife+Sanctuary%22&hl=en&sa=X&ved=0CC4Q6AEwAGoVChMIkJPlmq7wxwIVUAOSCh1CKwcK#v=onepage&q=%22Haliday%20Wildlife%20Sanctuary%22&f=false}}</ref><ref name=Weekend>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.theindianpanorama.news/en/travel-news/weekend-breaks-from-kolkata-24437/|শিরোনাম=Weekend Breaks From Kolkata|প্রকাশক=''[[The Indian Panorama]]''|তারিখ=August 8, 2014|সংগ্রহের-তারিখ=September 11, 2015}}</ref>
 
;'''লোথিয়ান দ্বীপ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য''': লোথিয়ান দ্বীপ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হল [[ভারত]]ের [[পশ্চিমবঙ্গ]] [[ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল|রাজ্যের]] [[দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা]]য় অবস্থিত একটি বন্যপ্রাণী [[অভয়ারণ্য]]। [[বঙ্গোপসাগর]]ের কাছে [[সপ্তমুখী নদী]]র মোহনায় এই দ্বীপটি অবস্থিত। ১৯৪৮ সালে এই বনাঞ্চলটি প্রথম অভয়ারণ্য হিসেবে বিজ্ঞাপিত হয় এবং ১৯৭৬ সালে তা পুনরায় ঘোষিত হয়। এই অভয়ারণ্যটি সুন্দরবন ব-দ্বীপের অংশবিশেষ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://protectedplanet.net/sites/Lothian_Island_Sanctuary| শিরোনাম=Lothian Island Sanctuary| কর্ম=protectedplanet.net| সংগ্রহের-তারিখ=৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮| আর্কাইভের-তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৪| আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140715052559/http://protectedplanet.net/sites/Lothian_Island_Sanctuary| ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>
 
এই জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য গুলি ছাড়ার [[ভাগবতপুর কুমির প্রকল্প]], [[সজনেখালী পাখিযরালয়]] রয়েছে ভারতীয় সুন্দরবনে।
 
=== বাংলাদেশের অভয়ারণ্য ===
বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৬,৫১৭ বর্গ কি.মি.। এর মধ্যে নদী, খাল ও খাঁড়ি রয়েছে প্রায় ১,৮০০ বর্গ কি.মি. যাদের প্রশস্ততা কয়েক মিটার থেকে শুরু করে কয়েক কি.মি. পর্যন্ত। জালের মত পরস্পর যুক্ত নৌপথের কারণে সুন্দরবনের প্রায় সব জায়গাতেই সহজে নৌকায় করে যাওয়া যায়। সুন্দরবনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ২টি বনবিভাগ, ৪টি প্রশাসনিক রেঞ্জ - চাঁদপাই, শরণখোলা, খুলনা ও বুড়িগোয়ালিনি এবং ১৬টি বন স্টেশন। বনটি আবার ৫৫ কম্পার্টমেন্ট এবং ৯টি ব্লকে বিভক্ত।<ref name="Bpedia" />
১৯৯৩ সালে নতুন করে খুলনা বন সার্কেল গঠন করা হয়েছে বন সংরক্ষণের জন্য এবং তাতে একটি সংরক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বনবিভাগের প্রশাসনিক প্রধাণের পদটি খুলনাকেন্দ্রিক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অধীনে রয়েছে বহুসংখ্যক পেশাদার, অপেশাদার ও সহায়ক জনবল। ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রীয় একক হল কম্পার্টমেন্ট। চারটি বন রেঞ্জের অধীনে থাকা ৫৫টি কম্পার্টমেন্ট স্পস্টতই নদী, খাল, খাঁড়ির মত প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট অনুযায়ী বিভক্ত।
১৭৯ ⟶ ১৬৯ নং লাইন:
 
=== বাংলাদেশে সুন্দরবনের দস্যুতার অবসান ===
সুন্দরবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ ও উপকূলীয় অধিবাসীদের জন্য বিশেষত বাংলাদেশ অংশে সবথেকে বড় আতঙ্কের বিষয় ছিল বনদস্যুদের উৎপাত,[[ডাকাতি]] ও অপহরণ। এ উৎপাত ঠেকাতে [[নৌবাহিনী]], [[কোস্টগার্ড রূপকল্প ২০৩০|কোস্টগার্ড]], র‌্যাব, পুলিশ ও বন বিভাগের প্রহরীদের সক্রিয় প্রচেষ্টা থাকলেও সমন্বিত উদ্যোগের অভাব ছিল। ২০১২ সালে র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রধান করে সুন্দরবনের [[জলদস্যুতা|জলদস্যু]] দমনের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠিত হয়। অবশেষে সাংবাদিক মোহসীন-উল-হাকীমের মধ্যস্থতায় ২০১৬ সালের ৩১ মে মাস্টার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সুন্দরবনের দস্যুমুক্তকরন[[দস্যু বনহুর|দস্যু]]<nowiki/>মুক্তকরন শুরু হয় এবং ১ নভেম্বর ২০১৮ জলদস্যুদের[[জলদস্যুতা|জলদস্যুদে]]<nowiki/>র সর্বশেষ ৬ টি বাহিনী আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশের প্রায় ৪০০ বছরের জলদস্যুতার অবসান ঘটে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/সুন্দরবনের-জলদস্যু-‘মাস্টার-বাহিনী’র-আত্মসমর্পণ|শিরোনাম=সুন্দরবনের জলদস্যু 'মাস্টার বাহিনী'র আত্মসমর্পণ|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|তারিখ=2016-05-31|ওয়েবসাইট=প্রথম আলো|ভাষা=bn|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210503173132/https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81-%E2%80%98%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E2%80%99%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A3|আর্কাইভের-তারিখ=2021-05-03|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-03}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-41077375|শিরোনাম=সুন্দরবন দখল যাদের নিত্যদিনের লড়াই|শেষাংশ=খান|প্রথমাংশ=মাসুদ হাসান|তারিখ=2017-09-13|ওয়েবসাইট=BBC News[[বিবিসি বাংলা]]|ভাষা=bn|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210503174052/https://www.bbc.com/bengali/news-41077375|আর্কাইভের-তারিখ=2021-05-03|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-03}}</ref>
 
== জনপ্রিয় মাধ্যমে সুন্দরবনের উপস্থিতি ==
১৯১ ⟶ ১৮১ নং লাইন:
*[[অপারেশন সুন্দরবন]] [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি আসন্ন রোমাঞ্চকর [[পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র]]। সুন্দরবনকে জলদুস্য মুক্ত করার অভিযান নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন [[দীপংকর দীপন|দীপংকর সেনগুপ্ত দীপন]]।
 
== বিপন্ন ও বিলুপ্ত প্রজাতি ==
{{একাধিক চিত্র
| align = right
| perrow = 1
| image1 = Jamrach-1877.jpg
| caption1 = সুন্দরবনের বিলুপ্ত Javan rhinoceros, ১৮৭৭ সালের চিত্রাঙ্কন থেকে
| image2 = GangeticDolphin.jpg
| caption2 = [[South Asian river dolphin| গঙ্গা ডলফিন]], ১৮৯৪ সালের চিত্রাঙ্কন থেকে
}}
বনের অনুসন্ধানগুলি প্রকাশ করে যে দুটি প্রধান বাণিজ্যিক ম্যানগ্রোভ প্রজাতি - সুন্দরী ( ''হেরিটিরা'' এসপিপি) এবং গেওয়া ( ''এক্সোইকারিয়া আগালোচা'' ) - ১৯৫৯ এবং ১৯৮৩ সালের মধ্যে যথাক্রমে ৪০% এবং ৪৫% হ্রাস পেয়েছে । মাছ এবং কিছু [[অমেরুদণ্ডী প্রাণী]] ব্যতীত সমস্ত বন্যপ্রাণী হত্যা বা ধরার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, এটি প্রতীয়মান হয় যে বিংশ শতাব্দীতে ধ্বংস হওয়া জীববৈচিত্র্য বা প্রজাতির (কমপক্ষে ছয়টি স্তন্যপায়ী এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সরীসৃপ) একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ প্যাটার্ন রয়েছে এবং সেটা হচ্ছে "মূল ম্যানগ্রোভ বনের পরিবেশগত গুণমান হ্রাস পাচ্ছে"। <ref name="hussain">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Mangroves of the Sundarbans|তারিখ=1994|প্রকাশক=International Union for Conservation of Nature and Natural Resources|oclc=773534471}}</ref>
 
সুন্দরবনের মধ্যে বসবাসকারী বিপন্ন প্রজাতি এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল টাইগার, [[লোনা পানির কুমির|মোহনা কুমির]], [[কেটো কচ্ছপ|উত্তর নদী টেরাপিন]] ( ''বাটাগুর বাসকা'' ), [[জলপাইরঙা সাগর কাছিম|অলিভ রিডলি সামুদ্রিক কচ্ছপ]], [[গঙ্গা নদী শুশুক|গঙ্গা ডলফিন]], স্থল কচ্ছপ, [[শিকরেঠুঁটি সাগর কাছিম|হকসবিল সামুদ্রিক কচ্ছপ]] এবং রাজকীয় কাঁকড়া । সুন্দরবনে বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিপন্ন জীব ধারণ করে যা মধ্যে [[কালোমুখ প্যারাপাখি]] রয়েছে এবং এটি [[চামচঠুঁটো বাটান]] এবং [[দেশি গাঙচষা|দেশি গাঙচষার]] জন্য গুরুত্বপূর্ণ শীতকালীন স্থান। <ref name="BirdLife">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=BirdLife Data Zone|ইউআরএল=http://datazone.birdlife.org/site/factsheet/sunderbans-(east-south-west-wildlife-sanctuaries)-iba-bangladesh/details|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20221202132031/http://datazone.birdlife.org/site/factsheet/sunderbans-(east-south-west-wildlife-sanctuaries)-iba-bangladesh/details|আর্কাইভের-তারিখ=2 December 2022|সংগ্রহের-তারিখ=2 December 2022}}</ref> কিছু প্রজাতি যেমন হগ হরিণ ( ''অ্যাক্সিস পোর্সিনাস'' ), [[মহিষ|জল মহিষ]] ( ''বুবালাস বুবালিস'' ), [[বারশিঙ্গা|বারসিংহ]] বা জলা হরিণ ( ''সারভাস ডুভাউসেলি'' ), [[জাভাদেশীয় গণ্ডার|জাভান গণ্ডার]] ( ''গণ্ডার সোন্ডাইকাস'' ), [[ভারতীয় গণ্ডার]] ( ''রাইনোসেরোস ইউনিকর্নিস'' ) এবং [[স্বাদুপানির কুমির]] থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রজাতি ব্রিটিশ ও স্থানীয়দের ব্যাপক চোরাচালান ও শিকারের কারণে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সুন্দরবন থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। <ref name="sarakar">Sarker, S.U. 1993. Ecology of Wildlife UNDP/FAO/BGD/85/011. Field Document N. 50 Institute of Forestry and Environmental Sciences. Chittagong, Bangladesh.</ref> অন্যান্য বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রজাতি রয়েছে, যেমন [[মুখপোড়া হনুমান]] ( ''সেমনোপিথেকাস পাইলিয়াটাস'' ), মসৃণ প্রলিপ্ত উটর ( ''লুট্রোগেল পারসপিসিলাটা'' ), [[এশীয় উদবিলাই]] ( ''অনিক্স সিনেরিয়া'' ) এবং [[বড় বাঘডাশ]] ( ''ভিভেরা জিবেথা'' )।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|30em}}
২০৩ ⟶ ২০৫ নং লাইন:
* Jalais, Annu. (2008). "Unmasking the Cosmopolitan Tiger", ''Nature and Culture'' (vol. 3, no. 1), pp.&nbsp;25–40.
* Jalais, Annu. (2008). "Bonbibi: Bridging Worlds", ''Indian Folklore'', serial no. 28, Jan 2008.
* Jalais, Annu. (2009). "Confronting Authority, Negotiating Morality: tiger prawn seed collection in the Sundarbans", International Collective in Support of Fishworkers, Yemaya, 32, Nov. [https://www.icsf.net/en/yemaya/detail/EN/1582.html] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20180902084426/https://www.icsf.net/en/yemaya/detail/EN/1582.html |date=২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ }}; Also in French: http://base.d-p-h.info/en/fiches/dph/fiche-dph-8148.html {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20130511170603/http://base.d-p-h.info/en/fiches/dph/fiche-dph-8148.html |date=১১ মে ২০১৩ }}
* Jalais, Annu. (2010). "Braving Crocodiles with Kali: Being a prawn-seed collector and a modern woman in the 21st century Sundarbans", ''Socio-Legal Review'', Vol. 6.
* Montgomery, Sy (1995). ''Spell of the Tiger: The Man-Eaters of Sundarbans''. Houghton Mifflin Company, New York.
* Rivers of Life: Living with Floods in Bangladesh. M. Q. Zaman. ''Asian Survey'', Vol. 33, No. 10 (October 1993), pp.&nbsp;985–996
* {{cite journal|title=Modern sediment supply to the lower delta plain of the Ganges-Brahmaputra River in Bangladesh|last2=Kepple|first2=E. B.|date=September 2001|pages=66|doi=10.1007/s003670100069|last1=Allison|first1=M. A.|journal=Geo-Marine Letters|volume=21|issue=2|bibcode=2001GML....21...66M|s2cid=140636544| issn = 0276-0460}}
* [https://web.archive.org/web/20091222015740/http://www.unep-wcmc.org/sites/wh/pdf/Sundarbans%20%5Bboth%5D.pdf Sundarbans on United Nations Environment Programme]
* {{cite journal|title=Floods in Bangladesh: II. Flood Mitigation and Environmental Aspects|last=Brammer|first=H.|date=July 1990|pages=158–165|doi=10.2307/635323|jstor=635323|journal=The Geographical Journal|volume=156|issue=2}}
২২১ ⟶ ২২৩ নং লাইন:
* {{বাংলাপিডিয়া}}
* [http://whc.unesco.org/en/list/798 ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় সুন্দরবন]
{{উইকিউক্তি}}
 
{{Bangladesh topics}}
{{বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান}}