আলী শের হায়দারি
আলী শের হায়দারি (উর্দু: علی شیر حیدری; ১৯৬৩ — ২০০৯) ছিলেন একজন পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি সিপাহে সাহাবা পাকিস্তানের (বর্তমানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত) সভাপতি ছিলেন।[১] ২০০৯ সালে আততায়ীর হাতে তিনি নিহত হন।
আলী শের হায়দারি | |
---|---|
علی شیر حیدری | |
প্রধান, সিপাহে সাহাবা পাকিস্তান | |
অফিসে ২০০৩ – ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | আজম তারিক |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ আহমেদ লুধিয়ানভি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯৬৩ |
মৃত্যু | ১৭ আগস্ট ২০০৯ |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বেলুচ |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদীস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ, রাজনীতি, শিয়া বিরোধীতা |
উল্লেখযোগ্য কাজ | আল জামিয়াতুল হায়দারিয়া আনওয়ারুল হুদা |
যেখানের শিক্ষার্থী |
|
ঊর্ধ্বতন পদ | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
জন্ম ও বংশ
সম্পাদনা১৯৬৩ সালের রজব মাসে খায়েরপুর জেলার গোঠ মুসা খান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেলুচের চান্দিও গোত্রের একটি জমিদার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তার পিতার নাম মুহাম্মদ ওয়ারিস জানুরি।
শিক্ষা
সম্পাদনাতিনি খাইরপুর মীরের প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীঠ সরকারী নাজ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ম্যাট্রিক পাশ করার পরে তিনি গোথ খাইরপুরের জামিয়া রশিদিয়া পেরুতে ভর্তি হন। তিনি জামিয়া ইশাতুল কুরআন লারকানা থেকে দারসে নিজামি সম্পন্ন করেন এবং থিরির প্রসিদ্ধ মাদ্রাসা জামিয়া দারুল হুদা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিক্ষকতা
সম্পাদনা১৯৮৪ সাল থেকে তিনি জামিয়া আজিজিয়া লারকানায় ফিকহশাস্ত্রের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ কানজুদ দাকায়েকের শিক্ষা দিতে থাকেন। শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার পর একই মাদ্রাসায় তিনি নিয়মিত শিক্ষকতা করতে থাকেন। তিনি কুরআন, সুন্নাহ, আইনশাস্ত্র, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের জন্য খ্যাত ছিলেন। ১৯৮৭ সালে খায়রপুরে আল জামিয়াতুল হায়দারিয়া আনওয়ারুল হুদা নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। জামিয়া হায়দারিয়াতে তিনি দরসে নিজামী, তুলনামূলক ধর্ম, ইসলামী সমাজ ও সংস্কৃতির পাশাপাশি সিন্ধি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্দোলন
সম্পাদনা১৯৭৯ সালে তিনি খোমেনির সংগঠিত ইরানি বিপ্লবের বিরোধিতা করেছিলেন।
এরপর তিনি হক নওয়াজ ঝংভির ডাকে সিপাহে সাহাবায় যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সিন্ধু প্রদেশের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং ১৮ জানুয়ারী ১৯৯৭ জিয়াউর রহমান ফারুকী নিহত হওয়ার পর সিপাহে সাহাবার প্রধান পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৯৭ সালের আগস্টে তিনি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ সাজ্জাদ আলী শাহের সামনে জাতির ইসলামের অবস্থা উপস্থাপন করেন, প্রধান বিচারপতিকে ইসলামের আকারে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অভিহিত করেন।
তিনি উপসাগরীয় অঞ্চল, আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং উপমহাদেশের অনেক দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি আরবি, ইংরেজি, ফার্সি, উর্দু এবং সিন্ধিতে পারদর্শী ছিলেন।
তিনি বহুবার কারাবরণ করেছিলেন এবং ৩ মাসের অল্প সময়ে কুরআন মুখস্থ করেছিলেন।
মৃত্যু
সম্পাদনা২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট একটি গুপ্তহত্যায় তিনি নিহত হন। [২]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সিপাহে সাহাবা পাকিস্তান - যোদ্ধা সংগঠনের বিশদ বর্ণনা"। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Country-wide protest against Allama Ali Sher Haideri killing"। The Nation (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৮-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৭।