নির্গুন ও সারগুন
নির্গুন ও সারগুণ হলো শিখধর্মে ব্যবহৃত পরিভাষা যার দ্বারা ঈশ্বরের অপ্রকাশ্য (নির্গুন) এবং প্রকাশ্য (সারগুন) প্রকৃতি বুঝানো হয়।[১] ঈশ্বরের নির্গুন ও সারগুন প্রকৃতির প্রকৃতি সম্বন্ধে কোনো দ্বিধাবিভক্তি নেই;[২] যেহেতু কেবলমাত্র একজনই আছেন (এক ওঙ্কার)।[৩][৪]
"তিনি স্বয়ং নিরাকার এবং সাকারও; একক ঈশ্বর বৈশিষ্ট্যহীন এবং বৈশিষ্ট্যময়ও।"
— এসজিজিএস; অং ২৫০
গুরু গ্রন্থ সাহিবে
সম্পাদনাগুরু নানক বলেন, সৃষ্টির আগে ঈশ্বর একাকী সুন সমাধি ভাবে গভীর ধ্যানমগ্ন অবস্থায় নির্গুন-রূপে ছিলেন।[৫]
"অগণিত বছর ধরে অন্ধকার ছিল।
পৃথিবী বা আকাশ ছিল না; শুধুমাত্র তার ইচ্ছা ছিল।
দিন ছিল না বা রাত ছিল না, সূর্য ছিল না বা চাঁদ ছিল না।
তারা (ঈশ্বর) গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন।
তিনি ছাড়া কিছুই ছিল না।"
— এসজিজিএস; অং ১০৩৫
তারপর ঈশ্বর ইচ্ছা করলেন, মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলেন এবং প্রকৃতিতে সারগুন রূপে বিচ্ছুরিত হলেন।[৬]
ভারতীয় দর্শনে
সম্পাদনাপরম ঈশ্বরের দ্বৈত প্রকৃতি সম্পর্কিত শিখদের দৃষ্টিভঙ্গি শঙ্করের বৈদিক (সগুন এবং নির্গুন) ব্রাহ্ম ধারণার ন্যায় যা একই সাথে সাধারণভাবে ভারতীয় দর্শনের ঐতিহ্য।[৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Pemberton, Kelly; Nijhawan, Michael (২০০৯-০১-১৩)। Shared Idioms, Sacred Symbols, and the Articulation of Identities in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-135-90476-0।
- ↑ Current Thoughts on Sikhism (ইংরেজি ভাষায়)। Institute of Sikh Studies। ১৯৯৬। পৃষ্ঠা 253। আইএসবিএন 978-81-85815-01-5।
- ↑ Singha, Surindara Pala (২০০৪)। Inner Dynamics of Guru Granth Sahib (ইংরেজি ভাষায়)। Guru Nanak Dev University। পৃষ্ঠা 140। আইএসবিএন 978-81-7770-115-9।
- ↑ "Ang 250 of Guru Granth Sahib Ji - SikhiToTheMax"। www.sikhitothemax.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৬।
- ↑ Munde, Amarpreet Singh। "Introduction to Sikhism - Section II: God and His Universe"। www.gurmat.info। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১১।
- ↑ "BBC - GCSE Bitesize: Evolutionary biology"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১১।
- ↑ Singh, Mohinder। History and Culture of Panjab (ইংরেজি ভাষায়)। Atlantic Publishers & Distri।