বিষয়বস্তুতে চলুন

স্নাতকোত্তর উপাধি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2409:40E1:2D:38D9:8000:0:0:0 (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে মো. মাহমুদুল আলম-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল দ্ব্যর্থতা নিরসন পাতায় সংযোগ
পরিষ্কারকরণ, বানান সংশোধন: পরবর্তীতে → পরবর্তীকালে , । → ।
 
(৫ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ১০টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[File:Master's Degree.jpg|thumb|স্নাতকোত্তর]]
[[File:Master's Degree.jpg|thumb|স্নাতকোত্তর]]
'''স্নাতকোত্তর''' ({{lang-en|Postgraduate}}) (যা মাস্টার্স ডিগ্রী নামেও পরিচিত) বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি লাভের পরবর্তীতে বিষয় ভিক্তিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আরও উচ্চ শিক্ষা সনদ লাভের একটি কোর্স যা সাধারণত এক বা দুই বছর মেয়াদী অধ্যয়নপর্ব শেষে কোন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম= The Universities of Europe in the Middle Ages: Volume 1, Salerno, Bologna, Paris|লেখক=[[Hastings Rashdall]]|তারিখ=1895|পাতাসমূহ=1–22|অধ্যায়=I|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=E4-eLaN99PEC&pg=PA1#v=onepage&q&f=false}}</ref> [[ব্রিটিশ]] শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলসমূহ, যেমন [[অস্ট্রেলিয়া]], [[পাকিস্তান]], [[বাংলাদেশ]], [[ভারত]], [[কানাডা]], [[মালয়েশিয়া|মালয়েশিয়াসহ]] অনেক দেশে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য তিন বছর (স্নাতক পাস কোর্সের জন্য) বা চার বছর(স্নাতক অনার্স কোর্সের জন্য) মেয়াদি ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=universitiesuk |ইউআরএল=http://www.universitiesuk.ac.uk/Publications/Documents/Burgess_final.pdf |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110716233510/http://www.universitiesuk.ac.uk/Publications/Documents/Burgess_final.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ জুলাই ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
'''স্নাতকোত্তর''' ({{lang-en|Postgraduate}}) (যা মাস্টার্স ডিগ্রী নামেও পরিচিত) বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি লাভের পরবর্তীকালে বিষয় ভিক্তিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আরও উচ্চ শিক্ষা সনদ লাভের একটি কোর্স যা সাধারণত এক বা দুই বছর মেয়াদী অধ্যয়নপর্ব শেষে কোন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম= The Universities of Europe in the Middle Ages: Volume 1, Salerno, Bologna, Paris|লেখক=[[Hastings Rashdall]]|তারিখ=1895|পাতাসমূহ=1–22|অধ্যায়=I|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=E4-eLaN99PEC&pg=PA1#v=onepage&q&f=false}}</ref> [[ব্রিটিশ]] শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলসমূহ, যেমন [[অস্ট্রেলিয়া]], [[পাকিস্তান]], [[বাংলাদেশ]], [[ভারত]], [[কানাডা]], [[মালয়েশিয়া|মালয়েশিয়াসহ]] অনেক দেশে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য তিন বছর (স্নাতক পাস কোর্সের জন্য) বা চার বছর(স্নাতক অনার্স কোর্সের জন্য) মেয়াদি ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=universitiesuk |ইউআরএল=http://www.universitiesuk.ac.uk/Publications/Documents/Burgess_final.pdf |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110716233510/http://www.universitiesuk.ac.uk/Publications/Documents/Burgess_final.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ জুলাই ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>


== বাংলাদেশে স্নাতকোত্তর ==
== বাংলাদেশে স্নাতকোত্তর ==
[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণভাবে এক বছর অথবা প্রতিষ্ঠান ভিক্তিক দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। স্নাতক অথবা স্নাতক সম্মান উত্তীর্ণ হওয়ার পরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ভর্তি হওয়া যায়।<ref>[https://samakal.com/todays-print-edition/tp-editorial-comments/article/140558635 স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে?] সমকাল</ref> কলা বা মানবিক ধারায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির নাম এম.এ., [[ললিতকলা|চারুকলা]] ধারায় [[ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস|এম.এফ.এ.]], অন্যদিকে [[সামাজিক বিজ্ঞান]] ধারায় এম.এস.এস., [[বিজ্ঞান]] ধারায় এম.এসসি., [[ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি শিক্ষা অনুষদ| ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষায়]] এম.টি.আই.এস এবং [[ব্যবসায় শিক্ষা]] ধারায় এম.কম. বা এম.বি.এ নামে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয়। [[প্রকৌশল]] বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এক বা দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়। <ref>[http://www.prothomalo.com/amp/education/article/677200/‘স্নাতকোত্তর-করতে-চাই-ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ে’ স্নাতকোত্তর করতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে’] প্রথম আলো</ref>
[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণভাবে এক বছর অথবা প্রতিষ্ঠান ভিক্তিক দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। স্নাতক অথবা স্নাতক সম্মান উত্তীর্ণ হওয়ার পরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ভর্তি হওয়া যায়।<ref>[https://samakal.com/todays-print-edition/tp-editorial-comments/article/140558635 স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে?] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181209015805/http://samakal.com/todays-print-edition/tp-editorial-comments/article/140558635 |তারিখ=৯ ডিসেম্বর ২০১৮ }} সমকাল</ref> কলা বা মানবিক ধারায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির নাম এম.এ., [[ললিতকলা|চারুকলা]] ধারায় [[ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস|এম.এফ.এ.]], অন্যদিকে [[সামাজিক বিজ্ঞান]] ধারায় এম.এস.এস., [[বিজ্ঞান]] ধারায় এম.এসসি., [[ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি শিক্ষা অনুষদ|ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষায়]] এম.টি.আই.এস এবং [[ব্যবসায় শিক্ষা]] ধারায় এম.কম. বা এম.বি.এ এবং আইন বিষয়ে এলএল.এম নামে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয়। [[প্রকৌশল]] বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এক বা দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়। বাংলাদেশের ডিগ্ৰি বা স্নাতক (পাস) কমপ্লিট করে দুই বছর মাস্টার্স=(১ বছর প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স+১বছর মাস্টার্স {স্নাতক(সম্মান)[অনার্স কোর্স শিক্ষার্থীদের সঙ্গে]}) আর অনার্স কমপ্লিট করে একবছর মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰি কমপ্লিট করতে হয়। তিন বছর মেয়াদি ডিগ্ৰি(পাস) শেষ করলে দুই বছরের মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰি কমপ্লিট করার পর অনার্সের ন্যায় সম্মান প্রদান করা হয়। এধরনের রীতি বা প্রথা রয়েছে।<ref>[http://www.prothomalo.com/amp/education/article/677200/‘স্নাতকোত্তর-করতে-চাই-ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ে’ স্নাতকোত্তর করতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে’]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=আগস্ট ২০২৪ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }} প্রথম আলো</ref>
==বাংলাদেশের মাস্টার্স কোর্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সুযোগ সুবিধা==
*বাংলাদেশের মাস্টার্স কোর্স সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে।যথা:-
(১). রেগুলার মাস্টার্স,
(২). প্রাইভেট মাস্টার্স।

মাস্টার্স রেগুলার ও মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সের মধ্যে পার্থক্যগুলো জানুন:-

• টার্ম-পেপার, ব্যবহারিক ও মাঠকর্ম আছে এমন বিষয়ে প্রাইভেটের শিক্ষর্থীরা অংশগ্রহন করতে পারবে না বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সে ভর্তির সুযোগ নেই।

• প্রাইভেট কোর্সের অনুমোদিত বিষয়সমূহ : বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, আরবী, ইসলামিক স্টাডিজ, সংস্কৃত, পালি, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং।

• মাস্টার্স প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরিক্ষা ৪ ক্রেডিটের হয়ে থাকে।

• মাস্টার্স নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরিক্ষা হবে ২ ক্রেডিটের ও টার্ম-পেপার ২ ক্রেডিটের।

• প্রাইভেট মাস্টার্স এর ক্ষেত্রে ক্লাস করতে হয় না।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও মাস্টার্স প্রাইভেট উভয় ক্ষেত্রে ইনকোর্স পরিক্ষা দিতে হবে।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও মাস্টার্স প্রাইভেট উভয় ক্ষেত্রে ইনকোর্স ২০ নম্বরের এবং লিখিত ৮০ নম্বরের।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় ক্ষেত্রে পরিক্ষা ও রেজাল্ট হবে একই পদ্ধতিতে এবং একই সাথে হয়।

• সাধারণ অনার্স এবং প্রোফেশনাল অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্স নিয়মিত ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় কোর্সের মেয়াদ হবে এক (০১) বছর আর রেগুলার ডিগ্ৰি ও প্রাইভেট ডিগ্ৰি কমপ্লিট করে রেগুলার মাস্টার্স ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় কোর্সের মেয়াদ হবে দুই বছর।

• রেগুলার মাস্টার্স ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ হবে তিন (০৩) বছর।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও মাস্টার্স প্রাইভেট উভয় ক্ষেত্রে সনদের মান সমান।

• মাস্টার্স প্রাইভেট ও মাস্টার্স নিয়মিত উভয় ক্ষেত্রে পড়াশোনার খরচ একই। ডিপার্টমেন্ট ভেদে ভিন্ন হতে পারে।

• মাস্টার্স নিয়মিত কোর্সে ভর্তির জন্য মেধা তালিকায় স্থান পেতে হয় কিন্তু মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সে সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়।
'''বিশেষ দ্রষ্টব্য:-বেসরকারি অর্থাৎ [[জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়]] অধীনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম সুযোগ সুবিধা তেমন থাকে না কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলো থাকে।'''


==আরও দেখুন==
==আরও দেখুন==

১৭:৪০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

স্নাতকোত্তর

স্নাতকোত্তর (ইংরেজি: Postgraduate) (যা মাস্টার্স ডিগ্রী নামেও পরিচিত) বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি লাভের পরবর্তীকালে বিষয় ভিক্তিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আরও উচ্চ শিক্ষা সনদ লাভের একটি কোর্স যা সাধারণত এক বা দুই বছর মেয়াদী অধ্যয়নপর্ব শেষে কোন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রি।[] ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলসমূহ, যেমন অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য তিন বছর (স্নাতক পাস কোর্সের জন্য) বা চার বছর(স্নাতক অনার্স কোর্সের জন্য) মেয়াদি ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। []

বাংলাদেশে স্নাতকোত্তর

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণভাবে এক বছর অথবা প্রতিষ্ঠান ভিক্তিক দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। স্নাতক অথবা স্নাতক সম্মান উত্তীর্ণ হওয়ার পরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ভর্তি হওয়া যায়।[] কলা বা মানবিক ধারায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির নাম এম.এ., চারুকলা ধারায় এম.এফ.এ., অন্যদিকে সামাজিক বিজ্ঞান ধারায় এম.এস.এস., বিজ্ঞান ধারায় এম.এসসি., ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষায় এম.টি.আই.এস এবং ব্যবসায় শিক্ষা ধারায় এম.কম. বা এম.বি.এ এবং আইন বিষয়ে এলএল.এম নামে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয়। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এক বা দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়। বাংলাদেশের ডিগ্ৰি বা স্নাতক (পাস) কমপ্লিট করে দুই বছর মাস্টার্স=(১ বছর প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স+১বছর মাস্টার্স {স্নাতক(সম্মান)[অনার্স কোর্স শিক্ষার্থীদের সঙ্গে]}) আর অনার্স কমপ্লিট করে একবছর মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰি কমপ্লিট করতে হয়। তিন বছর মেয়াদি ডিগ্ৰি(পাস) শেষ করলে দুই বছরের মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰি কমপ্লিট করার পর অনার্সের ন্যায় সম্মান প্রদান করা হয়। এধরনের রীতি বা প্রথা রয়েছে।[]

বাংলাদেশের মাস্টার্স কোর্স বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সুযোগ সুবিধা

[সম্পাদনা]
  • বাংলাদেশের মাস্টার্স কোর্স সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে।যথা:-

(১). রেগুলার মাস্টার্স, (২). প্রাইভেট মাস্টার্স।

মাস্টার্স রেগুলার ও মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সের মধ্যে পার্থক্যগুলো জানুন:-

• টার্ম-পেপার, ব্যবহারিক ও মাঠকর্ম আছে এমন বিষয়ে প্রাইভেটের শিক্ষর্থীরা অংশগ্রহন করতে পারবে না বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সে ভর্তির সুযোগ নেই।

• প্রাইভেট কোর্সের অনুমোদিত বিষয়সমূহ : বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, আরবী, ইসলামিক স্টাডিজ, সংস্কৃত, পালি, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং।

• মাস্টার্স প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরিক্ষা ৪ ক্রেডিটের হয়ে থাকে।

• মাস্টার্স নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরিক্ষা হবে ২ ক্রেডিটের ও টার্ম-পেপার ২ ক্রেডিটের।

• প্রাইভেট মাস্টার্স এর ক্ষেত্রে ক্লাস করতে হয় না।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও মাস্টার্স প্রাইভেট উভয় ক্ষেত্রে ইনকোর্স পরিক্ষা দিতে হবে।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও মাস্টার্স প্রাইভেট উভয় ক্ষেত্রে ইনকোর্স ২০ নম্বরের এবং লিখিত ৮০ নম্বরের।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় ক্ষেত্রে পরিক্ষা ও রেজাল্ট হবে একই পদ্ধতিতে এবং একই সাথে হয়।

• সাধারণ অনার্স এবং প্রোফেশনাল অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্স নিয়মিত ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় কোর্সের মেয়াদ হবে এক (০১) বছর আর রেগুলার ডিগ্ৰি ও প্রাইভেট ডিগ্ৰি কমপ্লিট করে রেগুলার মাস্টার্স ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় কোর্সের মেয়াদ হবে দুই বছর।

• রেগুলার মাস্টার্স ও প্রাইভেট মাস্টার্স উভয় ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ হবে তিন (০৩) বছর।

• মাস্টার্স নিয়মিত ও মাস্টার্স প্রাইভেট উভয় ক্ষেত্রে সনদের মান সমান।

• মাস্টার্স প্রাইভেট ও মাস্টার্স নিয়মিত উভয় ক্ষেত্রে পড়াশোনার খরচ একই। ডিপার্টমেন্ট ভেদে ভিন্ন হতে পারে।

• মাস্টার্স নিয়মিত কোর্সে ভর্তির জন্য মেধা তালিকায় স্থান পেতে হয় কিন্তু মাস্টার্স প্রাইভেট কোর্সে সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়। বিশেষ দ্রষ্টব্য:-বেসরকারি অর্থাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম সুযোগ সুবিধা তেমন থাকে না কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলো থাকে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Hastings Rashdall (১৮৯৫)। "I"। The Universities of Europe in the Middle Ages: Volume 1, Salerno, Bologna, Paris। পৃষ্ঠা 1–22। 
  2. "universitiesuk" (পিডিএফ)। ১৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  3. স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সমকাল
  4. স্নাতকোত্তর করতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে’[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] প্রথম আলো

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]