আবুল খায়ের লিটু

বাংলাদেশী ব্যবসায়ী

আবুল খায়ের লিটু বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যিনি দেশের পুরোধা সাংস্কৃতিক সংগঠক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃত। তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

আবুল খায়ের লিটু
নিজ দপ্তরে আবুল খায়ের লিটু, ঢাকা, ২০১৫
জন্ম
লিটু
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পেশাব্যবসায়ী
কর্মজীবন১৯৯০
পরিচিতির কারণসাংস্কৃতিক সংগঠক
উল্লেখযোগ্য কর্ম
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা

জীবন বৃত্তান্ত

সম্পাদনা

আবুল খায়ের লিটু ৭ অক্টোবর ১৯৫০ সালে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

বিশেষ অবদান

সম্পাদনা

দীর্ঘ দিন নিভৃতে কাজ করে চললেও ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মহোৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিনি জনসমগ্রে আবির্ভূত হন। তার চাচা বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ আবুল খায়েরের স্বপ্ন একটি সংস্কৃতিমনা জাতি গঠন। তার ‘আগামীর ঢাকা’ প্রকল্প একটি জলযোগাযোগ ভিত্তিক যাতায়াত ব্যবস্থা যা প্রায় দুই কোটিলোকের মহানগর ঢাকার অবর্ণনীয় ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।[]

 
আবুল খায়ের ঢাকার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে জনযোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করছেন

বেঙ্গল ফাউন্ডেশন

সম্পাদনা

তিনি ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ছোট-বড় নানামুখী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টস, এস এম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজ, সফিউদ্দিন বেঙ্গল প্রিন্ট মেকিং স্টুডিও, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়, বেঙ্গল পাবলিকেশনস্‌, জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক এবং ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টস। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত নানা পত্র-পত্রিকার মধ্যে রয়েছে কালি ও কলম যা ঢাকা এবং কলকাতা থেকে একযোগে প্রকাশিত হয়। ঢাকার অদূরে সাভারে ৫০ একর জমির ওপর তিন লাখ বর্গফুট এলাকার একটি জাদুঘর নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এছাড়া বংশী নদের তীরে একটি নৌকা জাদুঘর স্থাপনের কাজও অগ্রসরমান।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা